৯ম ও ১০ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বই থেকে বাংলাদেশ বিষয়ক ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
১) সামরিক শাসন জারি করা হয় – ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর
২) আইয়ুব খান ক্ষমতা দখল করেন– ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর
৩) মৌলিক গণতন্ত্র চালুকরেন– আইয়ুব খান
৪) আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়– ১৯৬১
৫) ছাত্র সমাজ ১৫ দফা কর্মসূর্মচি ঘোষণা করে – ১৯৬২ সালে
৬) ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হয়–১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর
৭) ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ চলে–১৭ দিন
৮) বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ–৬ দফা দাবি
৯) ৬ দফা দাবি উথাপন করেন–মুজিবুর রহমান
১০) ৬ দফা দাবি উথাপন করা হয়–১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি
১১) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি ছিল–৩৫ জন
১২) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামি করা হয়–বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানকে
১৩) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার শুনানি হয়–১৯৬৮ সালের ১৯ জুন
১৪) ঊনসত্তরের গণঅভ্যুথান হয় – ১৯৬৯ সালে
১৫) গণঅভ্যুথানে শহীদ হন – আসাদ ও ড. শামসুজ্জোহা
১৬) আগরতাল ষড়যন্ত্র মামলা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেয়া
হয়–১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি
১৭) শেখ মুজিবুর রহমানকে “বঙ্গবন্ধু” উপাধি দেয়া হয় ১৯৬৯ সালের ২৩
ফেব্রুয়ারি
১৮) আইয়ুব খান পদত্যাগ করেন ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ
১৯) কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হয়- ১৯৭০সালের ৭ ডিসেম্বর
২০) নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল – ৫ কোটি ৬৪ লাখ
২১) কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ
আসন লাভ করে – ১৬৭ টি ( ১৬৯ এর মধ্যে)
২২) প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় –
১৯৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর
২৩) প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগ আসন পায় – ২৮৮ টি ( ৩০০ এর
মধ্যে)
২৪) পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করেন – আগা খান
২৫) অধিবেশন স্থগিত করা হয় – ১৯৭১ সালের ১ মার্চ
২৬) অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
২৭) অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়া হয় – ১৯৭১ সালের ২ মার্চ
২৮) বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের সময় পূর্ব পাকিস্তানে চলছিল –
অসহযোগ আন্দোলন
২৯) জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান করা হয় – ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ
৩০) পূর্ববাংলার স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয় – ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের
ঐতিহাসিক ভাষণ
৩১) অপারেশন সার্চলাইট চালানোর নীলনক্সা করা হয় – ১৯৭১ সালের ১৭
মার্চ
৩২) নীলনক্সা করেন – টিক্কা খান ও ফরমান আলী
৩৩) অপারেশন সার্চলাইট হলো ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের বর্বর হত্যাকান্ড
৩৪) বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে
ওয়্যারলেস যোগে
৩৫) বঙ্গবন্ধুকে শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয় –২৬ মার্চ
প্রথম প্রহরে আনুমানিক রাত ১.৩০ মিনিটে
৩৬) শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন- ২৬ মার্চ প্রথম
প্রহরে ২৫ মার্চ রাত ১২ টার পর
৩৭) বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি ছিল – ইংরেজিতে।
৩৮) বাংলাদেশের অধিকাংশ নদীর উৎপত্তিস্থল – ভারতে
৩৯) বাংলাদেশে নদী পথের দৈর্ঘ্য – ৯৮৩৩ কিমি
৪০) সারাবছর নৌ চলাচলের উপযোগী নৌপথ – ৩,৮৬৫ কি.মি
৪১) অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ তৈরি হয়েছে – ১৯৫৮ সালে
৪২) কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় –
পাকিস্তান আমলে
৪৩) অভ্যন্তরীন নৌ পথে দেশের মোট বাণিজ্যিক মালামালের – ৭৫% আনা
নেয়া হয়
৪৪) বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৯৭২ সালে
৪৫) বাংলাদেশে চা চাষ হচ্ছে – উওর ও পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ে
৪৬) সারা বছর বৃষ্টিপাত হয় – উষ্ণ ও আদ্র জরবায়ু অঞ্চলে
৪৭) বাংলাদেশে চির হরিৎ বনাঞ্চল – পার্বত্যর্ব চট্টগ্রামের বনাঞ্চল
৪৮) বাংলাদেশে খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ জেলা সমূহ – পূবাঞ্চলীয় পাহাড়ি
জেলা সমূহ
৪৯) বাংলাদেশের লবণাক্তের পরিমাণ বেশি – দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু
এলাকা
৫০) বাংলাদেশের ক্রান্তীয় চিরহরিৎ ও পত্রপতনশীল বনভূমি- দক্ষিণ
পূর্ব ও উত্তর পূর্ব অংশের পাহাড়ী অঞ্চল
বাংলা সাহিত্যে যা কিছু প্রথম জানতেঃ https://www.alljobcircular.com
৫১) চিরহরিৎ বনকে বলা হয় – চির সবুজ বন
৫২) চিরহরিৎ বনভূমির পরিমাণ – ১৪ হাজার বর্গ কির্গ .মি
৫৩) প্রচুর বাঁশ ও বেত জন্মে – সিলেটে
৫৪) রাবার চাষ হয় – পার্বত্যর্ব চট্টগ্রাম ও সিলেটে
৫৫) ক্রান্তীয় পাতাঝরা অরণ্য – ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর,
দিনাজপুর ও রংপুর জেলায় ৫৬) শীতকালে গাছের পাতা সম্পূর্ণ ঝরে যায় – ক্রান্তীয়
পাতাঝরা বনভূমির
৫৭) ক্রান্তীয় পাতাঝরা বনভূমির প্রধান বৃক্ষ – শাল
৫৮) মধুপুর ভাওয়াল বনভূমি – ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও গাজীপুরে
৫৯) দিনাজপুরে এটি – বরেন্দ্র নামে পরিচিত
৬০) স্রোতজ বনভূমি- দক্ষিণ পশ্চিমাংশের নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলার
উপকূলীয় বন
৬১) স্রোতজ বনভূমি প্রধানত জন্মে – সুন্দরবনে
৬২) বাংলাদেশে স্রোতজ বা গরান বনভূমির পরিমাণ – ৪,১৯২ বর্গ কির্গ
.মি
৬৩) বাংলাদেশ সরকারে বিভাগ – ৩ টি
৬৪) আইন বিভাগের কাজ – আইন প্রনয়ন ও প্রচলিত আইনের সংশোধন
৬৫) আইন বিভাগের একটি অংশ – আইনসভা
৬৬) এপ্রিল মাসের গড় তাপমাত্রা – কক্সবাজার ২৭.৬৪ ডিগ্রী,
নারায়ণগঞ্জে ২৮.৬৬ ডিগ্রী, রাজশাহীতে ৩০ ডিগ্রী
৬৭) গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যায় – দক্ষিণ পশ্চিম
৬৭) গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যায় – দক্ষিণ পশ্চিম
মৌসুমী বায়ু
৬৮) কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে – পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিক থেকে
৬৯) প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় হয় – ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল
৭০) বাংলাদেশে বর্ষাকাল – জুন হতে অক্টোবর মাস
৭১) প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় – জুনজু মাসের শেষ দিকে মৌসুমী বায়ুর
প্রভাবে
৭২) বর্ষাকালে আবহাওয়া সর্বদা – উষ্ণ থাকে
৭৩) বর্ষাকালে গড় উষ্ণতা – ২৭ ডিগ্রী সে.
৭৪) বর্ষাকালে সবচেয়ে বেশি গরম পড়ে – জুনজু ও সেপ্টেম্বর মাসে
৭৫) বাংলাদেশের মোট বৃষ্টিবৃ পাতের – ৪/৫ ভাগ হয় হয় বর্ষাকালে
৭৬) বর্ষাকালে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গড় বৃষ্টিপাত হয় – ৩৪০ ও ১১৯
সে.মি
৭৭) বর্ষাকালে ক্রমে বৃষ্টিবৃ পাত বেশি হয় – পশ্চিম হতে পূর্ব দিকে
৭৮) বর্ষাকালে বিভিন্ন
জেলার বৃষ্টিবৃ পাতের পরিমান –পাবনায় প্রায় ১১৪, ঢাকায় ১২০, কুমিল্লায় ১৪০,
শ্রীমঙ্গলে ১৮০ এবং রাঙ্গামাটিতে ১৯০ সে.মি
৭৯) বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় – মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে
৮০) বর্ষাকালে পর্বতের পাদদেশে এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলের কোথাও
বৃষ্টিপাত – ২০০ সে.মি কম হয়
৮১) বর্ষাকালে বিভিন্ন অঞ্চলের বৃষ্টিপাত – সিলেটের পাহাড়ী অঞ্চলে
৩৪০ সেমি, পটুয়াখালীতে ২০০ সেমি, চটগ্রামে ২৫০ সেমি, রাঙ্গামাটিতে ২৮০ সেমি এবং
কক্সবাজারে ৩২০ সেমি।
৮২) জলবায়ুপরিবর্তনের্ত র কারনে সমুদ্রপৃষ্টেপৃ র উচ্চতা প্রতি বছর
গড়ে বৃদ্ধিবৃ – ৪ মিমি থেকে ৬ মিমি ( হিরন পয়েন্ট, চর চংগা, কক্সবাজার)
৮৩) গত ৪ হাজার বছরে ভূমিকম্পে পৃথিপৃ বীতে মানুষ মারা যায় – প্রায়
১ কোটি ৫০ লাখ ৮৪) ভৌগোলিক ভাবে বাংলাদেশের অবস্থান – ইন্ডিয়ান ও ইউরোপিয়ান
প্লেটের সীমানায়
৮৫) বাংলাদেশে ভূমিকম্পের মানবসৃষ্টসৃ কারন – পাহাড় কাটা
৮৬) ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্রের পানি উপকূলে উঠে – ১৫-২০ মিটার উঁচু
হয়ে
৮৭) ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্টিসৃ হয় – সুনামি
৮৮) ইন্দোনেশিয়ায় মারাত্নক সুনামি আঘাত হানে – ২০০৪ সালের ২৬
ডিসেম্বর
৮৯) বাংলাদেশে ভূমিকম্প হয়ে থাকে – টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষেরর্ষে
কারনে
৯০) বাংলাদেশের ভূমিকম্প বলয় মানচিত্র তৈরি করেছিলেন – ফরাসি ইঞ্জিনিয়ার
কনসোর্টিয়াম ১৯৮৯ সালে
৯১) তিনি বলয় দেখিয়েছেন – ৩ টি
৯২) বলয়গুলোকে ভাগ করেছেন – প্রলয়ংকারী, বিপজ্জনক, লঘু
৯৩) এই বলয় সমূহকে বলা হয় – সিসমিক রিস্ক জোন
৯৪) বরেন্দ্রভূমি গঠিত হয়– নওগাঁ, গাঁরাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট,
রংপুর ও দিনাজপুরের অংশ বিশেষ নিয়ে
৯৫) বরেন্দ্রভূমির আয়তন – ৯৩২০ বর্গ কির্গ .মি
৯৬) প্লাবন সমভূমি থেকে এর উচ্চতা – ৬ থেকে ১২ মিটার
৯৭) বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি – ধূসর ও লাল বর্ণেরর্ণে
৯৮) মধুপুর ও ভাওয়ালের সোপানের আয়তন – ৪,১০৩ বর্গ কির্গ .মি
৯৯) সমভূমি থেকে এর উচ্চতা – ৬থেকে ৩০ মিটার
১০০) মধুপুর ও ভাওয়ালের মাটি – লালচে ও ধূসর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন